কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেয়া শিার্থীদের খুঁজতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন আবাসিক হলে তল্লাশি চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এ সময় কয়েকটি হল থেকে অংশ নেয়া আন্দোলনকারী শিার্থীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত আটটি হলে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, হলের যেসব শিার্থী কোটা সংস্কার আন্দোলনে গিয়েছিল তাদের রুমে গিয়ে হেনস্তা ও মারধর করেছে ছাত্রলীগ। হল শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নেতৃত্বেই এ কাজ করে তারা। জানা যায়, ভুক্তভোগীদের অধিকাংশই হলের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিার্থী। তাদের অনেককেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ না থাকায় তাদের এ মারধর করা হয়। কেন্দ্রীয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নির্দেশেই শিার্থীদের নির্দেশেই শিার্থীদের মারধর ও হেনস্তা করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি হলের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বলেন, বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের নেতারা হলের যেসব শিার্থী কোটা সংস্কারের নেতৃত্ব দেয় তারা যাতে হলে থাকতে না পারে সে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন হলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। জানা যায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদদীন হলে এক শিার্থীকে মারধর করে ছাত্রলীগ। তাছাড়া হলের যেসব শিার্থী কোটা সংস্কারের আন্দোলনে গিয়েছিল তাদের রুমে গিয়ে হেনস্তা করা হয়। স্যার এ এফ রহমান ও মুহসীন হলেও এ ঘটনা ঘটে। এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের মূল গেটে হল শাখার সভাপতি বরিকুল ইসলাম বাঁধন ও সাধারণ সম্পাদক আল আমিনের নির্দেশে ছাত্রলীগ অবস্থান নেয়। ওই গেট দিয়ে পরিচয় দিয়েই হলে প্রবেশ করতে হয় শিার্থীদের।
কোটা সংস্কারের আন্দোলনের সাথে কেউ যুক্ত থাকলে তাদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া ও সুফিয়া কামাল হলেও ছাত্রলীগ নেতারা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত করে। অভিযোগ উঠেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. শহীদুল্লাহ ও ফজলুল হক হলে বহিরাগতদের নিয়ে ছাত্রলীগের হল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সাধারণ শিার্থীদের হেনস্তা করা হয়, অনেক শিার্থীকে মারধর করে বলেও জানা যায়।
bdnetwork24