২০১১ সাল থেকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) আসরে খেলে আসছেন সাকিব আল হাসান। প্রথম থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলে আসলেও এবারের আসরে দল পাল্টে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে খেলছেন এই টাইগার অলরাউন্ডার।
চলতি আইপিএলে মোট ২ কোটি রুপিতে সাকিবকে দলে ভিড়িয়েছে হায়দ্রাবাদ। এবারের আসরটি সহ এই নিয়ে অষ্টমবারের মতো আইপিএলে খেলা সাকিব এই টুর্নামেন্ট থেকে মোট আয় করেছেন প্রায় ২০ কোটি রুপি (১৯ কোটি ৫৫ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০)।
অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্যমান প্রায় ২৫ কোটি টাকা (২৪ কোটি ৯৭ লাখ ২০ হাজার)। অবশ্য সাকিবের এই আয় দেখে অনেকে চোখ কপালে তুললেও তারা হয়তো জানেন না আয়ের দিক থেকে আইপিএলে সাকিবের অবস্থান ৬৫ তম। অর্থাৎ কোহলি, ধোনিদের মতো ক্রিকেটারদের আয়ের ধারেকাছেও নেই সাকিব।
আইপিএলে এখন পর্যন্ত সবথেকে বেশি আয় করেছেন চেন্নাই সুপার কিংসের উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাঁর মোট আয়ের পরিমাণ ১০৭ কোটি ৮৪ লাখ রুপি। এরপর ১০১ কোটি ৬০ লাখ রুপি নিয়ে দ্বিতীয়তে অবস্থান মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের রোহিত শর্মার।
এরপর সবথেকে বেশি আয় করা ক্রিকেটারদের মধ্যে তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে আছেন যথাক্রমে গৌতম গম্ভীর, বিরাট কোহলি এবং যুবরাজ সিং। কলকাতা নাইট রাইডার্স থেকে এবারের আসরে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসে যোগ দেয়া গম্ভীরের আয় ৯৪ কোটি ৬২ লাখ রুপি।
অপরদিকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে খেলা কোহলি এখন পর্যন্ত আয় করেছেন ৯২ কোটি ২০ লাখ রুপি। আর চলতি আসরে পাঞ্জাবের হয়ে খেলা যুবরাজ সিংয়ের আয়ের পরিমাণ ৮৩ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার।
বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবথেকে বেশি আয় করা ক্রিকেটার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকান হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান এবিডি ভিলিয়ার্স। ৬৯ কোটি ৫১ লাখ ৬৫ হাজার রুপি আয় করেছেন এবিডি। অস্ট্রেলিয়ান সাবেক অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন আছেন দ্বিতীয়তে। তাঁর আয়ের পরিমাণ ৬৯ কোটি ১৩ লাখ ৪৮ হাজার ২৫০ রুপি।