কোটা থাকবে না এটা চক্রান্ত।

কোটা থাকবে না এটা চক্রান্ত। কোটা সংস্কার করা হোক, কারন কোটা যদি বাতিল করে দেয় তা হলে মামলা করলে আগের মত হবে তখন আওয়ামীলিগ বলবে এটা আদালতের ব্যাপার। আমরা বাতিল চাই না ১০% কোটা রাখা হোক।

সাবধান সবাইকেন্দ্রীয় কমিটি এবং আন্দোলনকারীদের মনে রাখা উচিৎ যদি কোটা সম্পূর্ণ রুপে বাতিল করা হয় তবে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলে সেটি হবে মে মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত সময় দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করারচেও ভয়াবহ কারণ সরকারি চাকরিতে কোটা সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার যেটা বাংলাদেশের সংবিধান অনুচ্ছেদ ২৮(৪) এবং ২৯ (৩) ক দিয়ে নিশ্চিত করেছে।

রাষ্ট্র এমন কোন পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার হরণ করে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা কোটা প্রথা সম্পূর্ণ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলে সেটা নিয়ে উচ্চ আদালতে অবশ্যই রিট হবে এবং এই সিধান্ত দীর্ঘ সময়ের জন্য আটকে যাওয়া এবং বাতিল হবার সম্ভাবনাই বেশী। তাই কোটা সম্পূর্ণ বাতিলের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে অযোক্তিক এবং বোকামি। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা রেখেই কেবল বর্তমান কোটা ব্যবস্থার সংস্কারকে সাধুবাদ জানানো উচিৎ অন্যথায় না! কেউ আবার আমাকে সংবিধান বিশেষজ্ঞ বইলা গালি দিতে আইসেননা, একজন আইনের ছাত্র হিসেবে এটা বুঝতে হলে বিশেষজ্ঞ হইতে হয়না!
FB theikha

কোটা সংস্কারের নামে অরাজকতা হচ্ছে: শমী কায়সার

শমী কায়সার

 

কোটা সংস্কারের নামে অরাজকতা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক এবং ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার। তিনি বলেছেন, কোটা সংস্কারকে ঘিরে শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করছে তারা কতটা জেনে বুঝে আন্দোলন করছেন? কারা তাদের উস্কানি দিচ্ছে সেটাও বিবেচনা করতে হবে। এবং এটাকে কেন্দ্র করে যে অরাজকতা হচ্ছে, যে পরিমাণ ভাঙচুর হচ্ছে তা কাম্য নয়।গতকাল রাতে বেসরকারি টেলিভিশন ইনডিপেনডেন্ট-এর টকশো আজকের বাংলাদেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন তিনি। টকশোর বিষয় ছিল কোটার কাঁটা।

খালেদ মুহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় টকশোতে আরও ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সায়েম খান এবং কোট সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান।কোটা সংস্কারের আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই উল্লেখ করে শমী কায়সার বলেন, ‘কোনো আন্দোলনকে আমি ছোট করে দেখছি না। কিন্তু আন্দোলনের একটা ভাষা থাকে, নর্মস থাকে এই আন্দোলন যে জায়গায় যেভাবে ছাত্রদের ডেসট্রাকটিভ করে তুলছে তাতে মনে হচ্ছে ভাঙচুর করেই তারা সফল হবে। একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা এটা মানতে পারি না।’


‘একজন মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ পরিবারের সন্তান হিসেবে আমি বলবো বাংলাদেশের শহীদ পরিবার বা মুক্তিযোদ্ধার পরিবারদের সদস্যরা দিনের পর দিন বছরের পর বছর নানাভাবে, সামাজিকভাবে নিগৃহীত হয়েছে। এখনও মুক্তিযোদ্ধার পরিবার এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা কষ্টে রয়েছেন।’তবে টক শোকে অংশ নেয়া গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে যৌক্তিক বলেছেন।জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আন্দোলনে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যেটা জনস্বার্থভিত্তিক আন্দোলন সেটা সমর্থনযোগ্য। এটা সমাজকে এগিয়ে নেয়। কোটা সংস্কারের জন্য যেসব ছাত্ররা আন্দোলন করছে সেটা গণস্বার্থভিত্তিক আন্দোলন। এবং এটা ন্যায্য আন্দোলন।’

‘বর্তমান বাংলাদেশে এই মুহূর্তে পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে আমাদের দেশে চার কোটি ৪০ লাখের ও বেশি বেকার। যাদের কোনো কাজই নেই। এদের মধ্যে ৪৪ লাখেরও বেশি উচ্চশিক্ষিত রয়েছে। দেশের প্রায় চারজনের একজন বেকার। এই বেকারত্ব বাংলাদেশের এখনকার বাস্তবতা। সুতরাং কর্মসংস্থানের দিকে আমাদের নজর দেয়া দরকার। বর্তমান আন্দোলনটা কর্মসংস্থানের একটা বিষয় নিয়ে কথা বলছে। কিন্তু এটা আমাদের সামগ্রিক সমস্যার নজর ফেরানোর পথ দেখাচ্ছে।’

কোটা ব্যবস্থা সংস্কার প্রয়োজন এমনটা জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান কোটা ব্যবস্থা সংস্কার কিংবা পুনর্মূল্যায়ন দরকার। গত তিন-চার বছর ধরে এই আন্দোলন চলছে। গত কয়েকদিন ধরে এটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ছাত্ররা প্রথম শাহবাগে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করে বিক্ষোভ জানিয়ে আসছিল। কিন্তু তাদের উপর হামলা টিয়ারশেল, ছররা গুলি চালিয়ে তাদের আন্দোলন থেকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে পুলিশ। আন্দোলকারীদের বিক্ষোভ কাজে লাগিয়ে কোনো একটি পক্ষ ভিসির বাড়িতে আগুন দিয়েছে। এটা নিশ্চয়ই ষড়যন্ত্রকারীরা করেছে।’

ছাত্রলীগ নেতা সায়েম খান বলেন, ‘কোটা সংস্কারের পক্ষে যারা আন্দোলন করছেন তাদের নিয়ে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কিছু বলার নেই। ছাত্রলীগ হাজার জন করেন। হাজার জনের হাজার মত রয়েছে। ছাত্রলীগ কখনোই কোটা সংস্কারের পক্ষে বিপক্ষে কোনো বিবৃতি দেয়নি। ছাত্রলীগের কোনো স্পষ্ট অবস্থান নেই।’

ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা যখন প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ২০ সদস্যের একটি দল সচিবালয়ে যাই সেখানে আমাদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপদস্থ একটি প্রতিনিধি। সেখানে আমাদের বলা হলো ৭ মে’র মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য যৌক্তিক কোনো সমাধান দেবে। সেখান গতকাল আপনি দেখেছেন অর্থমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন যারা কোটা সংস্কারের আন্দোলন করে তারা রাজাকারের বাচ্চা। বাংলাদেশে সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রীদের এহেন কথার প্রেক্ষিতে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

(ঢাকাটাইমস