ভারতের সাধারণ নির্বাচনে বিপুলভাবে জয়ী হয়ে নরেন্দ্র মোদির সরকার গঠনের পিছনে অন্যতম বড় ভূমিকা ছিল মার্কিন সংস্থা ফেসবুকের। সোশ্যাল মিডিয়ার রঙিন প্রচার জয়ের পথ সুগম করেছিল এনডিএ প্রার্থী নরেন্দ্র মোদির। পরোক্ষভাবে এই কথা কার্যত স্বীকার করে নিলেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।
স্বচ্ছতা নেই বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই সকল অভিযোগ আসতে থাকায় কাঠগড়ায় তোলা হয় মার্ক জাকারবার্গকে। যুব সমাজের এই আইকনকে মুখোমুখি হতে হয় মার্কিন কংগ্রেসের কড়া প্রশ্নের মুখে।
যদিও সব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিয়েছেন ফেসবুকের জনক মার্ক জাকারবার্গ। নানাবিধ বিষয়ে নিজেদের ভুলভ্রান্তির কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। এই তালিকায় এমন কিছু ভুল রয়েছে যেগুলোকে শুধু ভুল বললে সত্যের অপলাপ ঘটবে। বলা ভালো ঘোর অপরাধ। তেমনই একটি অপরাধ হচ্ছে রাজনৈতিক দলের প্রচার।
ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার ভারতের শাসক বিজেপি শিবিরের অন্যতম বড় হাতিয়ার। এর জন্য পৃথক আইটি সেল রয়েছে বিজেপির। এবং সেই দলের কর্মীরা অত্যন্ত সজাগ ও সক্রিয়। যার প্রমাণ বারবার দেখা গেছে এবং এখনো তা বিদ্যমান। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের সময়ে এই দলের কর্মীদের একটা বড় অবদান ছিল কেন্দ্রে মোদি সরকার গঠনের ক্ষেত্রে। মূলত ফেসবুকের মাধ্যমেই তৈরি করা হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির ব্র্যান্ড। যার উপরে ভর করেই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দিল্লিতে গঠিত হয় এনডিএ সরকার।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভ্রান্ত তথ্য ছড়িয়ে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে বলে মোদি সরকারকে কটাক্ষ করে বিরোধী শিবির। পরোক্ষে সেই অভিযোগ মেনে নিয়েছেন ফেসবুক কর্তা মার্ক জাকারবার্গ। মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছেন, “ভারতের আসন্ন সব নির্বাচনে ফেসবুকের সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা বজায় রাখতে আমাদের চেষ্টার ত্রুটি থাকবে না।”
ভারতের ষষ্ঠদশ লোকসভা নির্বাচনে নানারকম ডিজিটাল কারসাজি হয়েছিল। এবং তা বর্তমান শাসকের জয়ের পথ মসৃণ করেছিল। মার্ক জুকারবার্গের এই বক্তব্য থেকে বেশ ভালোভাবেই বোঝা যায় বিষয়টি একেবারেই অসত্য নয়। এই বিষয়টিকে তুলে ধরে আগামী সময়ে যে বিরোধী শিবির আক্রমণ শানাবে তা বলাই বাহুল্য।
উৎসঃdailynayadiganta