শীর্ষনিউজ, ঢাকা : কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরে কর্মরত, বসবাসরত এবং আগত সকল যুক্তরাষ্ট্রের নাগরকিদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।
মঙ্গলবার দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সতর্কবার্তা জারি করা হয়।
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান জানায়।
এতে আরও বলা হয়, স্থানীয় সংবাদ অনুযায়ী, গত ৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় বিক্ষোভের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কিছু যানবাহন পুড়িয়ে দেয়া হয় এবং সংঘর্ষ বাধে। যেহেতু পরবর্তী কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ চলতে পারে। তাই এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে বসবাসরত মার্কিন নাগরিকদের সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হচ্ছে।
শীর্ষনিউজ/এসএসআই
সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাকড করে কোটা সংস্কারের দাবি হ্যাকারদের
শীর্ষ নিউজ, ঢাকা: গত রোববার থেকে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দিয়েছে হ্যাকাররা। ইতিমধ্যে তারা রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওয়েবসাইটসহ ৫টি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বেশ কয়েকটি সরকারি সাইটে ব্রাউজ করলে সেগুলো হ্যাক হয়েছে বলে দেখাচ্ছে। হ্যাকাররা ওই সাইটগুলো হ্যাক করার পর সেখানে উপরে শিরোনাম হিসেবে ‘হ্যাকড বাই বাংলাদেশ’ এবং তার নিচে বাংলাদেশের পতাকা হাতে শাহবাগে আলোচিত প্রতিবাদীর ছবি দেয়া হয়েছে।
রাত ১০টার দিকে বঙ্গভবনের ওয়েবসাইট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওয়েবসাইট, জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইট, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট, বিসিএস প্রশাসনের ওয়েবসাইট এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গেলে একই দৃশ্য দেখা যায়।
এবিষয়ে সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম এনালিস্ট মাহাবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি অনেক বড় একটি আক্রমণ। হ্যাকাররাও এতে যোগ দিয়েছে জানতে পেরে অবাক হচ্ছি। এই ট্রেন্ডটা আগে শুধু বিদেশে দেখতাম।
একইভাবে অনলাইনে এভাবে সাইবার আন্দোলন বাংলাদেশে এর আগে হয়নি বললেই চলে। আমাদের দেশীয় সাইটগুলোকে সিকিউর রাখা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। মন্ত্রণালয়গুলোতে দক্ষতার ভিত্তিতে নিয়োগের অভাব পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে।
সাইটগুলো হ্যাক করার পর সেখানে প্রদর্শিত ছবির নিচে হ্যাশট্যাগ দিয়ে Reform Quota BD, Stop the Genocide, Reform Quota System, Bangladesh, Student Protest, United WE Stand, No_Private or Publice Discrimination বেশ কিছু শ্লোগান লেখা হয়।
শীর্ষ নিউজ/জে