শীর্ষ নিউজ, ঢাকা: সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থাকে সংবিধান বিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট রাজনীতিক বিশ্লেষক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলী খান।
মঙ্গলবার রাতে বেসরকারি একটি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আকবর আলী খান বলেন, সংবিধানে মেধা ভিত্তিক নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। কোটা ভিত্তিক নয়। তাই বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা সংবিধান বিরোধী। এ কোটা সংস্কার হওয়া দরকার। না হলে এটা অনেক দুর্নীতির সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হলেই যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবে এটার কোনো নিশ্চিয়তা নেই। আবার রাজাকারের সন্তান হলেই যে রাজাকারের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবে সেটারও কোনো নিশ্চিয়তা নেই। সব মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা কোটা পাবে না। যারা অনগ্রসর শুধু তারাই কোটা পাবে।
শীর্ষ নিউজ/আনসারী
অনির্দিষ্টকাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট
কোটা সংস্কারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট আহ্বান করেছে আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি দাবি আাদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সারাদেশে সড়ক অবরোধ করার ঘোষণাও দিয়েছে তারা।মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ ঘোষণা দেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ইরফানুল হক। তিনি জানান, মতিয়া চৌধুরীর আপত্তিকর বক্তব্য আর অর্থমন্ত্রীর সাংঘর্ষিক বক্তব্য তাদের আন্দোলনে নামতে নতুন করে বাধ্য করেছে।
গতকাল সোমবার আন্দোলনকারী প্রতিনিধিদলের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে কোটা সংস্কারের বিষয়টি সরকারের পক্ষ থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়। এই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীদের নেতারা।
কিন্তু মাঠপর্যায়ের আন্দোলনকারীদের একাংশ এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে গতকাল সন্ধ্যায় আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। গতকাল রাত সোয়া ৯টার দিকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে উৎসাহীদের পক্ষে বিপাশা চৌধুরী আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে আবারও অবস্থান কর্মসূচি এবং দেশজুড়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়ে দাবি আদায়ে সরকারকে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়। এরপর তারা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যায়।
এদিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদে ফের সমন্বিত আন্দোলনে নেমেছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। আন্দোলনকারী সংগঠন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’-এর বাইরেও আরো দু’টি গ্রুপ তৈরি হয়। এদিন সকাল থেকে মূল কমিটির বাইরে পৃথক দুটি কমিটিকে আন্দোলন করতে দেখা যায়।
DNN.news