শীর্ষ নিউজ, ঢাকা: চাকরিতে কোটা প্রথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট রাজনীতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে নিজের ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শীর্ষ নিউজের পাঠকদের জন্য আসিফ নজরুলের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
আসিফ নজরুল তার স্ট্যাটাসে বলেন, ‘আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধটা হয়েছেই বৈষম্য আর বঞ্চনা দুর করার জন্য। এই যুদ্ধটা সত্যি যারা করেছেন তারা নিজেরা কখনো অন্য কারো প্রতি বৈষম্য বা বঞ্চনা করতে পারেন না। আমি তাই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি কোন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বর্তমান কোটা ব্যবস্থার সমর্থক হতে পারেন না।
কোটা পেতে পারেন শুধু যুদ্ধাহত বা যুদ্ধে শহীদ পরিবারের সন্তানরা।
শীর্ষ নিউজ/জে
মন্ত্রীসভায় কোটা চাই: আসিফ নজরুল
শীর্ষ নিউজ, ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার থেকে সংসদ ও মন্ত্রীসভায় ৩০ শতাংশ সদস্য নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্ট রাজনীতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার পর নিজের ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি এ দাবি জানান।
ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুল বলেন, ‘একটা কাজ করলে কেমন হয়। আমরা দাবী তুলি, সংসদ এবং মন্ত্রীসভায় ৩০ শতাংশ সদস্যকে নিতে হবে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারগুলো থেকে।
সরকারী চাকরীতে কোটা দেয়া গেলে এসব জায়গায় কেন দেয়া যাবে না? তাদের যুক্তিই যদি সঠিক হয় তাহলে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানানোর এটাই হবে শ্রেষ্ঠ উপায়।
শীর্ষ নিউজ/আনসারী
আন্দোলনকারীদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে: কাদের
শীর্ষনিউজ, ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনকারীদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবন পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সমঝোতা হওয়ার পরও যারা কোটা সংস্কারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করছে তাদের রাজনৈতিক আদর্শ খতিয়ে দেখতে হবে।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে চালানো নারকীয় বর্বরতার সঙ্গে জড়িতরা কোনো অবস্থাতেই ছাড় পাবে না। ভিডিও দেখে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, উপাচার্যের বাসভবনে হামলা পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। এসব হামলাকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, এই হামলা একাত্তরের বর্বরতাকেও হার মানায়। একাত্তরের ২৫ মার্চ কালো রাতেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম হামলা হয়েছিল। কিন্তু ভিসির বাসভবন কখনও আক্রান্ত হয়নি। এমনকি স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও এরকম ঘটনা ঘটেনি। বেডরুমসহ সবকিছু তছনছ করা হয়েছে। বাথরুমের কমোড, আসবাবপত্র ও ভিসির পরিবারের স্বর্ণালঙ্কার পর্যন্ত লুট করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এটি যে পরিকল্পিত হামলা তা প্রমাণিত। কারণ ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বিকল করে দেয়া হয়েছে। এই নারকীয় বর্বরতার সঙ্গে জড়িতদের কাউকে কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেয়া হবে না। তদন্ত চলছে। কিছুটা চিহ্নিত হয়েছে। বাকিটাও চিহ্নিত হবে। এর বিচার করতেই হবে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে।
শীর্ষনিউজ/এম