“এবার শেখ হাসিনাকে ‘ভারতীয় কোটার প্রধানমন্ত্রী’ বললেন ব্যারিস্টার সায়েম”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আবু সায়েম সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের প্রতি অকুন্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, ভারসাম্যহীন কোটাপ্রথা জাতিকে পশ্চাৎপদতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে, সুতরাং এর আমূল পরিবর্তন অবশ্যই একটি সময়োপযোগী ও যৌক্তিক দাবি। তিনি সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের বর্বর হামলার কঠোর নিন্দা জানান।

ব্যারিস্টার সায়েম ১৯৯৮ সালে ২০তম বিসিএস’র মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে শতকরা তিরিশ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা চালুর আওয়ামী সিদ্ধান্তকে দুরভিসন্ধিমূলক বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিলো দলীয় ক্যাডার ও অনুগতদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে প্রশাসনে নিজেদের একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা।’
দেশের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের প্রতি আওয়ামী লীগ বরাবরই প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এ উপদেষ্টা। অন্যদিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান মেধাবীদের মূল্যায়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।


বিএনপির প্রতিটি সরকারই তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছিলো। বিএনপি চেয়ারপারসন দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াও দলের ভিশন-২০৩০তে কোটা পদ্ধতির প্রয়োজনীয় সংস্কারের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান কোটাপ্রথার অপকারিতা উপলব্ধি করে আজ থেকে প্রায় বছর চারেক আগেই একে শতকরা পাঁচ ভাগে নামিয়ে আনার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।’

ব্যারিস্টার সায়েমের মতে, ‘বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতিকে শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার নিজেদের রক্ষাকবচ হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। তারা তাই মেধাবী শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি কর্ণপাত করছে না।’ তিনি শেখ হাসিনাকে ভারতীয় কোটার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিহিত করে ফেসবুকে নিচের স্ট্যাটাসটি পোস্ট করেন-
“ভারতীয় কোটার প্রধানমন্ত্রী আর মুক্তিযোদ্ধা কোটার চাকরিভোগী দুটাই ফালতু জিনিস দুটাকেই ভাগাতে হবে।।”

সূত্র: bdtoday