হলুদ প্রপাগাণ্ডা: কোটাসংস্কারের আন্দোলনে ঢুকেছে জামাত-শিবির অথচ ছবিটা কলকাতার

ফেসবুকে হলুদ প্রপাগাণ্ডা:

নিচের ফটোটা প্রায় ভাইরাল। এই ছবি দেখিয়ে বলা হচ্ছে, গতকাল শাহবাগে কোটাসংস্কারের আন্দোলনকারীদের মধ্যে ঢুকে গেছে জামাত-শিবির। অথচ ছবিটা কলকাতার।

সিপিএম-এর ওপর তৃণমূলের ক্যাডারদের হামলা করার ছবি।
মূল নিউজের লিংক..https://www.facebook.com/cpimcc/posts/891925600979121?hc_location=ufi

……………..
কোটা বিরোধী আন্দোলনে মুখে কাপড় বাঁধা এরা কারা?………………………

সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনকারীদের নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। আন্দোলনের নামে চারুকলায় নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রার জিনিষপত্র ভাঙা হয়েছে, ভিসির বাসভবনে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে কি ছাত্র সমাজের নির্মোহ আন্দোলনে অন্য শক্তির প্রবেশ ঘটেছে? ঘটলে এরা কারা? মুখে কাপড় বেঁধে অান্দোলনে নামা একদল তরুণ, এই সন্দেহ উসকে দিয়েছে।

এদিকে কোটা সংস্কারের দাবির এই আন্দোলনের প্রতি শুরুতে ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতার সহানূভূতি থাকলেও আগুন-ভাঙচুর আর নাশকতার ঘটনাগুলোতে সরকারের ভেতর তৈরি হয়েছে সংশয়। অনেকেই এখন এ আন্দোলনকে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চক্রান্ত হিসেবে দেখছেন। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই মনে করছেন বিএনপি-জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির সাধারণ ছাত্রের বেশ ধরে এই আন্দোলনে মিলিত হয়ে উস্কানি দিচ্ছে আন্দোলনে।সরকারকে বিতর্কিত করতেই তারা এই চেষ্টা করছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে ঢালাওভাবে ছাত্রলীগে যাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে তারাই সরকারের বিরুদ্ধে এই আন্দোলনে জড়িয়েছে। ছাত্রলীগের একাধিক নেতা মনে করছেন, তাদের আসন্ন সম্মেলন বানচাল করতেই এই চক্রান্ত।

সবমিলিয়ে গণমুখী দাবি নিয়ে গড়ে ওঠা স্বতস্ফুর্ত এ আন্দোলনকে ধীরে ধীরে ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের হাত থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব ছিনতাই হয়ে গেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


purboposhchimbd

জাবিতে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে………………………
কোটা সংস্কার ও শাহবাগে আন্দোলনরত আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিতে কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়িয়েছে পুলিশ। সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে।

কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সোমবার (৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৪০ মিনিট থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এই অবরোধের কারণে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক কার্যত অচল হয়ে যায়।

দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদেরকে ছাত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে। তখন শিক্ষার্থীরাও পুলিশের দিকে ইট পাটকেল মেরে প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। তবে এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এরপর আরও কয়েক দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা। পুলিশের এসব বাধা উপেক্ষা করেই শিক্ষার্থরা সড়ক অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন।


এর আগে শিক্ষার্থীরা সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহসড়কে গিয়ে অবস্থান নেয়। পরে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শিক্ষার্থীদেরকে রাস্তা ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তারপরও আন্দোলন চালিয়ে যায়। তারপরেই পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এই সময় শিক্ষার্থীরা দৌঁড়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রবেশ করলেও পুলিশ ক্যাম্পাসের ভিতরেও রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে। পরে আবার শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে।

আন্দোলনকারীদের ৫ দফা দাবি- সরকারি নিয়োগে কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, কোটার যোগ্য প্রার্থী না পেলে শূন্যপদে মেধায় নিয়োগ, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়া, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অভিন্ন বয়সসীমা, নিয়োগপরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার না করা।

ব্রেকিংনিউজ