সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হলে ফেরার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে পুলিশের জলকামান, সাঁজোয়া যান ও প্রিজনভ্যান অবস্থান করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া শাহবাগ এলাকায় র্যাবের গাড়ির অবস্থান রয়েছে।
এদিকে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনা কিছুতে ভুলতে পারছেন না ঢাবির শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে গতকাল রাতের কথা। টিএসসিতে আসেলে কী ঘটেছিলো গতকাল রাতে?তারই রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী পাকিজা পাখি মল্লিক। আসুন জেনে নেই তিনি কী বলছেন। তিনি এ বিষয়ে নিজের ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, ‘হলের ৪ টি গেইট ভেঙ্গে আজ আমরা বেরিয়েছিলাম। শুধু আমরা নই অন্য হলগুলোর মেয়েদের অবরোধও আমরা ভেঙ্গেছিলাম।’
‘কিন্তু হায়! আজ আমাদের ছেলেদের হলে লীগের তালা পড়ল। তারপরও যে একাংশ আমাদের সাথে যোগ দিয়েছিল সেটাও কম নয়।
কিন্তু মাঝ রাতে টিএসসিতে বহিরাগত লীগের হামলায়(বুলেট, ইট, টিয়ারশেল) ছেলে মেয়ে উভয়েই আহত হয়ে যখন প্রচণ্ড রক্ত ক্ষরণ হচ্ছিল তখন হসপিটালে ফোন করে এ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায় নি। কারণ লীগের বারণ।’
‘রাত ১২ টার পরে যখন ছাত্র ছাত্রীরা ন্যায্য দাবিতে রাজপথে, আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন কোনো মিডিয়াকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হয় নি। রাত ২ টার দিকে সমস্ত টেলিভিশন চ্যানেলের লাইভ টেলিকাস্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি ক্যাম্পাসে ৩জি নেটওয়ার্ক ই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
‘আমাদের ওপর একের পর এক হামলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে মনে হয় এ প্রথমবার সবগুলো মেয়েদের হলভেঙ্গে রাত ১২ টার পর আন্দোলনে নামা হলো। অথচ সেটা টেলিকাস্ট করতে দেওয়া হলো না। পুলিশ দিয়ে একের পর এক আক্রমন নির্যাতন করা হলো, Autocracy Autocracy and Autocracy.’
desh24.xyz