বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনার আক্রোশ বিএনপির ওপর, খালেদা জিযার ওপর, তারেক রহমানের ওপর এবং জিয়াউর রহমানের নামের ওপর।রোববার বিকেলে দুসাই রিসোর্ট-এ ভিআইপি হল রুমে জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সভায় এসব কথা বলেন তিনি।আমান বলেন, আপনারা দেখেছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এরশাদ জনসভা করে। কিন্তু বিএনপিকে করতে দেয় না। পার্টি অফিসের সামনেও করতে দেয় না।
মৌলভীলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাছের রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় আরো বক্তব্য দেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আশিক মোশাররফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বকসী মিছবাউর রহমান, কেন্দ্রীয় আইনজীবী ফোরামের নেতা এডভোকেট আবেদ রাজা, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মৌলভী আব্দুল ওয়ালী সিদ্দীকি, আব্দুল মুকিত, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন উজ্জ্বল, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রসিক, জেলা যুবদল নেতা মুজিবুর রহমান মজনু প্রমুখ।
আমান বলেন, আজকে আদালতকে এই সরকার তাদের কব্জায় নিয়ে গিয়েছে। তাদের কথা ছাড়া আদালত চলে না। এজন্যই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করতে হবে। আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য সকলকে এক জায়গায় দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, সেই দিন বেশি দূরে নয়। শেখ হাসিনাকে গদি ছাড়তে হবে। আজকে বেগম জিয়া কারাগারে। দিন আসছে শেখ হাসিনাকেও কারাগারে যেতে হবে।পরিবর্তন
নুরুল হুদার বক্তব্যে ক্ষুব্ধ শেখ হাসিনা বলেন ঃ চেয়ারে বসলেই মাথা নষ্ট হয়ে যায়.
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘অপ্রয়োজনীয়’ এবং ‘অপ্রাসঙ্গিক’ মন্তব্য কেন করছেন সে প্রশ্নও উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কিছু মানুষের চেয়ারে বসলেই মাথা নষ্ট হয়ে যায়। আবোল-তাবোল কথাবার্তা বলে।’ আজ বিকেলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে প্রধানমন্ত্রী এই ক্ষোভের কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে অবিলম্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের প্রতিবাদ করতে বলেন।
রোববার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হওয়া উচিত।’ যুক্তি দেখিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা বলেন, ‘বিগত নির্বাচনগুলোতেও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।’
সিইসির বক্তব্য শুনে প্রধানমন্ত্রী বিরক্ত হন। এখনো নির্বাচন নয়মাস বাকি, নির্বাচনের তফসিলও ঘোষণা করা হয়নি। এসময় অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য কেন?- এই প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেয়ে ওবায়দুল কাদের সিইসির বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এখতিয়ার বর্হিভূত বিষয়।’
উল্লেখ্য, নুরুল হুদা প্রধান নির্বাচন কমিশনার হওয়ার পর বিএনপির সঙ্গে সংলাপে জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রে প্রবর্তক বলে মন্তব্য করেছিলেন।