চলছে গুলি কাঁদছে মানুষ রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ

দশ বছর আগের পুলিশ আর এখনকার পুলিশ এক না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী!!
আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল এর কথার জবাবে একটা কথাই বলবো দশ বছর আগে যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করেছে তারা ছিল পুলিশ। আর এখন যারা পুলিশের পোশাকে অবৈধ সরকারের এজেণ্ডা বাস্তবায়ন করছে তারা হচ্ছে স্বৈরতন্ত্রের সন্ত্রাসী। স্বৈরতন্ত্র কোন দেশকে উন্নত করতে পারেনা। এর জন্য চাই গণতন্ত্র যা ইতিমধ্যে আওয়ামী স্বৈরাচার নামক ভোটার বিহীন অবৈধ সরকার হরন করেছে। দেশের মানুষ আজ অত্যাচারী যালিম শাসকের উপহার দেয়া নিরব দুর্ভিক্ষের কষাঘাতে ধুকে ধুকে মরছে। যদিও বা কেউ প্রতিবাদ করতে যাচ্ছে হয় তাকে গুম হতে হচ্ছে, তা নাহলে বন্দী হতে হচ্ছে স্বৈরাচারের কারাগারে, নয়তো বা তার পরিবারে কাউকে হতে হচ্ছে ছাত্রলীগ নামক সন্ত্রাসীদের হাতে ধর্ষণ।’

প্রানের ভয় সবারি আছে, ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন হয়েছে তখনো আমার ভাইয়ের বুকে গুলি চলেছে, ১৯৭১ সাল তখন ও আমার ভাইয়ের বুকে গুলি চলেছে চলেছে আমার মা বোনের উপরে পাশবিক নির্যাতন। ১০৯০ তখন ও আমার ভাই শহীদ নূর হোসেন, আমার ভাই শহীদ জগলুর বুকে গুলি চলেছে। ২০০৯ সাল ২৫ এ ফেব্রুয়ারি বিডিয়ার সদর দপ্তরের পিল খানায় দরবার হলে আবারো গুলি চালানো হয়েছে আমার দেশের অতন্ত্র প্রহরী আমার ভাই ৫৭জন চৌকশ সেনা অফিসার এর বুকে। তখন থেকেই শুরু হয় এই অবৈধ সরকারের গুম খুন ধর্ষন আর হত্যার রাজনীতি! পাকিস্তানী হানাদার ওরাও আমাদের বুকে গুলি চালিয়েছে কেরে নিয়েছে হাজারো মা বোনের ইজ্জত। বর্তমান অবৈধ সরকার এর শাসন আমলেও চলছে আমার ভাইদের বুকে গুলি, হচ্ছে তাদের সংগঠন ছাত্রলীগ নামক হায়েনাদের হাজারো নারী শিশু ধর্ষণ।
রাজ মাহমুদ’

বিশ্ববাসীর উপহার শেখ হাসিনা স্বৈরাচার।-আশরাফ পাহেলী ।

আজকে আমাদের দেশের সকল ইতিহাস ভঙ্গকরে আমরা স্বীকৃতি পেলাম স্বৈরতান্ত্রিক দেশ হিসাবে। কেনো এটা হলো? সেটা কি একবার ভেবে দেখেছি আমরা? একটি গণতান্ত্রীক দেশে যখন অনির্বাচিত সরকার কায়েম হয় তখন সেই বিশ্ববাসীর উপহার শেখ হাসিনা স্বৈরাচার। সরকারকে জনগণ বা কোনো বিচক্ষন ব্যাক্তি কিছু বলার সাহস পায়না।
যদিও কেও সাহস করে সরকারের নেতিবাচক কোনো কাজের সমালোচনা করার, তাহলে তার উপর নেমে আসে হামলা,গুম,খুন,ক্রসফায়ার,গ্রেফতার,জেলখানা। সে কারনে কেও কোনো কথা বলার সাহস করেনা।

যখন কারো কোনো কথা বলার সাহস না থাকে তখন লাগামহীন ঘোড়ার মত সরকার যা খুশী তাই করতে থাকে। এক কথায় বেপরোয়া হয়ে যায়।
বর্তমানে যা চলছে সরকারী কাজে ১২ আনাই ফাকি! কখনো কখনো ১৬ আনাই ফাকি। টেন্ডার করা আর বিল করা, রডের বদলে বাঁশ ৫০ বছরের গ্যারান্টির জায়গায় ৫ বছরও টেকেনা। সরকারের মন্ত্রীরাই স্বীকার করছে ১লাখ কোটি টাকার এডিবির কাজ যদি সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে দেশের চেহারা বদলে যাওয়ার কথা। কিন্তু বিশ্ববাসীর উপহার শেখ হাসিনা স্বৈরাচার। ডব্লিউ বিএম স্তরে কমপ্যাকশনের ১০ টনের পরিবর্তে মাত্র ৪ টনের রোলার ব্যাবহার করতে দেখা গেছে। এই ভাবে সর্বক্ষেত্রে ফাঁকি ঝুকি দিয়ে দেশ চালাচ্ছে বর্তমান স্বৈরাচার সরকার। সরকার অনির্বাচিত স্বৈরাচার হওয়ার কারনে অদক্ষ অকর্মান্য ব্যাক্তিদের দিয়ে দায়িত্ব পালন করাচ্ছে।
যার প্রমান সরকারের কিছু কিছু এমপি মন্ত্রীরা কথায় কথায় অস্ত্র উচিয়ে জনগণকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে! কোনো জায়গায় এমপি মন্ত্রীর ছেলেরাও মানুষকে পশু শিকারের মত করে হত্যা করে ফেলছে। সরকারের মন্ত্রীরা স্বীকার করে নিচ্ছে যে তাদের সরকার পুলিশের উপর নির্ভর করে টিকে আছে। একটি সরকার যখন পুলিশ নির্ভর হয়ে যাবে সংঘত কারণেই সেই সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পরবে।


২০১৪ সালে সরকার প্রধান ঘোষনা দিয়েছিলেন ঘরে ঘরে চাকরি দিবেন,একটি যুবকও বেকার থাকবেনা তার দলের আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান দুঃখ করে বলেছেন চাকরি না পাওয়ার কারণে তার সংগঠনের নেতা কর্মীদের প্রেমিকারা ছুটে যাচ্ছে। হায়রে দেশ যে দেশে প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা দেয় আওয়ামী পরিবার না হলে তাকে চাকরি দেয়া হবে না সেই দেশে তার যুব সংগঠনের নেতাকর্মী দের চাকরির অভাবের কারণে প্রেমিকা ছুটে যায়, আর সে কিনা বলে আমাদের দেশ নাকি মধ্যম আয়ের দেশ। মিথ্যা দিয়ে যদি কোন কাহেনী শুরু হয় সে কাহেনী মিথ্যা দিয়েই শেষ করতে হয়।ঠিক তেমন ই জনগণের সাথে প্রতারনা করে ভোট ছাড়া সরকার গঠন করেছিলেন বলেই আজকে জনগণের সাথে বারবার মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার অপচেষ্টায় লিপ্ত।

লাখো শহীদের রক্ত গণতন্ত্রের আর্তনাদ স্বাধীনতার অপমৃত্যু অর্থনীতি ধ্বংস শিক্ষার সর্বনাশ হেফাজতের রক্ত, ইলিয়াস আলী,নাসির উদ্দিন পিন্টু,চৌধুরী আলম,সহ হাজার হাজার জিয়ার সেনার প্রশ্নবিদ্ধ পরিনাম?
শেয়ার বাজার কেলেংকারী, কুইকরেন্টাল, হলমার্ক, যুবক ডেষ্টেনি, মাতারবাড়ী রামপাল, তাজরিন ফ্যাশন,রানা প্লাজা, পদ্না সেতু লুটপাট, সীমান্ত হত্যা, ইয়াবা বদি রোহিঙ্গা নেশার স্বর্গরাজ্য, পঁচা গম আমদানী, চাল, ডাল, তেল, মাছ, মাংস, শবজি, পেট্রোল,ডিজেল, অক্টেন, গ্রীজ মবিল গ্যাস কেরোসিন কৃষি যন্ত্রপাতি শিক্ষার উপকরন সার কীটনাশক বিদুৎ কাপড় ঔষধ ডাক্তার প্যাথলজি ফি চিকিৎসা ব্যায় লাগামহীন মুল্য বৃদ্ধি। ব্যাংক বীমা লুট পাট জবর দখল। ধর্ষীতার অভিশাপ যৌন হয়রানী। গুমের আতংকময় বীভিষিকা। পিলখানার হত্যা কান্ড স্বাগর রুনির মৃত্যুযন্ত্রণা কাটা তাঁরে ফেলানীর ঝুলন্ত লাশ।
নারায়নগঞ্জে সাত খুন হাজার হাজার নেতা কর্মী খুন। মামলা হামলা দখল চাঁদাবাজির মহাউৎসব মিলন,সুমন,হাসান আলীর আত্নদান। সারে ১৪ লক্ষ কোটি টাকা পাঁচার। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি। এসকে সিনহার অপসারন বিচারবহিরভুত হত্যাকান্ড। জুডিশিয়াল কিলিং ক্রসফায়ার বিচারালয়ের স্বাধীনতা হরণ চাকরিতে দলীয় করন সর্বত্র আত্নীয় করন।’

স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার নাম ইট পাথর কংক্রিটের স্থাপনা থেকে মুছে ফেলে ইতিহাসের অপমান। একদলীয় শাসন পাকাপোক্ত করন সংবাদ পত্র, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রন, ভোটের অধীকার হরণ জাতি মেনে নেয়নি নিবেওনা কোনোদিন। মহা বিস্ফোরণ ঘটবেই এটাই ইতিহাস বলে।
আমার দেশ সংবাদ পত্রের অফিসে তালা, নয়া দিগন্ত অফিসে তালা, চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত, ইসলামিক টেলিভিশন বন্ধ।

মেজর জিয়া ২৫ মার্চ রাত্রিতে পাকিস্থান সামরিক বাহেনীর বিরুদ্ধে সদল বলে বিদ্রোহ ঘোষনা করেন, তার কমান্ডিং অফিসার জানজুয়া ও অন্যদের প্রথমে গ্রেফতার এবং পরে হত্যা করে পাকিস্থান বাহেনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেন।
পরে ২৬ মার্চ তিনি স্বাধীনতা ঘোষনা দিয়ে পাকিস্থান সামরিক বাহেনীর মোকাবেলার জন্য সকলকে আহবান করেন।এ ঘোষনায় তিনি নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধান ঘোষনা করেন।
Amardesh247.com