বিপ্লব একদিনে গড়ে উঠে না, ময়দানের বিন্দু বিন্দু সময় দান থেকে ধীরে ধীরে বিপ্লবের শক্তি গড়ে উঠে

দ্বীন মুহাম্মাদ, একজন শিক্ষিত মানুষ, ইসলামের পক্ষে সর্বদা বিপ্লব অন্বেষন করেন, তার ফেইসবুক আইডির ওয়ালে নিয়মিত বিধ্বংসী লেখাও দেন, তার পোস্টগুলো অতিমাত্রায় পাবলিসড হওয়ায় তিনি একজন সেলিব্রেটি। দেশের পরিস্থিতির টান টান উত্তেজনাকর মূহুর্তে তিনি স্বিদ্ধান্ত নিলেন জমিনে বিপ্লবের সাথে সামিল হবেন, বেরিয়েও পড়লেন, দেখলেন দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল ফাইটিং, সাধারণ মূর্খ মানুষগুলোও প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন, দ্বীন মুহাম্মদে ছুটাছুটি করতে লাগলো, কোনদিক থেকে কার সাথে যোগ দিবে বুঝতে পারে নি, ময়দানে যাওয়াটা দ্বীন মুহাম্মাদের অনেকটা নিরর্থক হয়ে গেলো, কারণ বিপ্লবের ডাকে আহবানকারীদের তিনি কাউকে চিনেন না, ফেইসবুকে যা লিখতেন এটি তার কেবল পজিটিভ আবেগ, ময়দানের সাথে তার কোন সম্পর্ক ছিলো না, এমনকি তার লেখা যারা পড়ে লাইক কমেন্ট করতো, তারাও কেউ ময়দানের লিস্টেড কর্মী না।’


বিপ্লব একদিনে গড়ে উঠে না, ময়দানের বিন্দু বিন্দু সময় দান থেকে ধীরে ধীরে বিপ্লবের শক্তি গড়ে উঠে, যদি ময়দান মুখী লিস্টেড কর্মীই না হন, কি হবে ফেইসবুকে থেকে দিনের পর দিন লাইক কমেন্ট স্ট্যাটাসের, তাই আপনার আমার স্ট্যাটাস হোউক ময়দান থেকে, বিপ্লব কোন অকর্মা আবেগের বহিঃপ্রকাশ নয়, জ্বলন্ত আগুনের দাবানলকে শক্ত হাতে মুঠিয়ে ধরার নাম বিপ্লব।
বিপ্লবের নিশানা তৈরি হয় ময়দান থেকে, আপনার আমার মূল্যবান সময় কেটে যাচ্ছে ফেইসবুকে, যদি সেই ময়দানের সাথে সম্পর্কই না থাকে পারবো তো কখনো ময়দানের বিপ্লবে সামিল হতে? যে বিপ্লবের সাথে আবেগ বিনে বাস্তবতার আপনার আমার কোন সম্পর্কই নেই। আসলেই এ ভাবে বিপ্লব কোন সম্ভব না, যদিও বিপ্লব কোন দিন কারো জন্য থেমে থাকে না, আর সেই বিপ্লবে আপনি আমি ভার্সুয়াল থেকে ময়দানে সামিল হওয়ার রাস্তা পাবো তো? যদি ময়দানের পথ না ই চিনি কি করে সম্ভব?
আজ ফেবুতে আমাদের শক্তি আছে,জন সমর্থন আছে,দেশের সাধারণ মানুষ স্যাটেলাইট সমাজ মাধ্যমের উপর আস্থা হারিয়ে অনলাইনে জামায়াত সমর্থিত সংবাদ মাধ্যমগুলোতে আস্থা রাখছে,নতুন নতুন অনেক ইউজাররা দিন দিন অনলাইনেই জামায়াতকে ভালোবেসে জামায়াতের পক্ষে পোস্ট দিচ্ছেন, অনেকেই জামায়াতের বিভিন্ন শীর্ষ নেতৃবৃন্দের ছবি প্রোফাইল ফিক্চারে যোগ করে আইডি চালাচ্ছেন,সেলেব্রেটি পর্যায়ে সংগঠনের সমর্থনে পোস্ট দিয়ে দ্রুত পৌছে যাচ্ছেন, এই পুরো সোস্যাল মিডিয়াকে যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি,তবে সারাদেশে একদিন সাংগঠনিক বিস্ফোরনের অন্যতম শক্তি হিসেবে ফেবুর বর্তমান যোগাযোগ ব্যবস্থা একটা শক্ত ভুমিকা রাখতে পারে।’


আপনারা জানলে অত্যন্ত খুশি হবেন যে,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফেইসবুককে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা মনে করে,সাংগঠনিক যে সকল ভাই ফেইসবুক ব্যবহার করেন,তাদের আইডিতে সাংগঠনিক প্রচারণা মূলক পোস্ট প্রদানের জন্য প্রতিটি ইউনিট পর্যায়ে সার্কুলার এসেছে,তার অর্থ এই নয় যে,নিজেকে দ্বীনি কাজে সামিল না রেখে কেবল ফেবুতে বসে স্ট্যাটাস দেয়া,আপনার আমার ইসলামী প্রেরণার সকল কাজকে সংগঠন খুবই গুরত্বের সাথে দেখে,তাই আপনার যদি আচার আচরন ইসলামী গঠনতান্ত্রিক ভাবে পরিচালিত হয়, এতে আপনি যেমন উপকৃত হবেন,অন্যরাও আপনার থেকে শিখে উপকৃত হবেন, অন্যথায় দেখা যাবে এমন এক পোস্টে সংগঠনকে গাছের আগায় তুলে ফেলছেন,আবার এমন পোস্ট করে সংগঠন প্রেমীদের বিভ্রান্ত করছেন,আপনার চরিত্র নিয়েই সকলের মাঝে সংশয় জাগে, আশাকরি সংগঠনের শিক্ষনীয় প্রেরণাগুলো ফেবুতে যথাযথ তুলে ধরতে পারলে আমাদের মাঝে ঘাড় ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে সহায়ক হবে।
আসুন,যারা ইসলামকে ভালোবাসি, যারা সংগঠন ভালোবাসি, দেশকে ভালোবাসি, ময়দানে কাজ করি, ময়দান থেকেই বিপ্লবের স্ট্যাটাস দেই, যেই স্ট্যাসের শক্তি সারা ফেইসবুকে বসে থাকা সকল স্ট্যাটাস সমান করলেও আপনার স্ট্যাটাসের সমান হবে না, মন্দ কি হয় তো লাইক কমেন্ট একটু কমই পেলেন, কিন্তু আপনার স্ট্যাটাস যদি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পছন্দ করে ফেলেন এর চাইতে উত্তম জাজা আর কি হতে পারে।

ও আল্লাহ আমাদের সর্বদা তোমার কোরআনের বিপ্লবের সাথে একযোগে কাজ করার তাওফীক দাও। আমীন।

sonarbangla24. net