প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন জাফর ইকবালের উপর যারা হামলা করেছে তারা কেউ জান্নাতে যাবেনা সবাই জাহান্নামে যাবে। এর জবাবে ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের দায়িত্বের পাশাপাশি কি বেহেস্তের দায়িত্ব ও কি নিজের কাধে তুলে নিলেন? নাকি ওখানেও উনার কোন এক্সট্রা মন্ত্রণালয় রয়েছে?।আমরা যারা মুসলিম তারা সবাই জানি কাল কেয়ামতের উপরে কারো হাত নেই, সেখানে রাসুল (সা:) ছাড়া আর কারো সুপারিশ আল্লাহতালা গ্রহণ করিবেন না।
তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উনি কি করে জানলেন জাফর ইকবালের উপর যারা হামলা করেছে তারা জাহান্নামে যাবে?জাফর ইকবাল কি এমন কোন পরহেজগার বান্দা যে উনার উপর যারা হামলা করেছে তাদের আল্লাহ জান্নাতে পাঠাবেন না! জাফর ইকবাল তো ধরতে গেলে ইসলাম বিরোধী।
তিনি তো ইসলামের নিয়মকানুন মানেন’ই না। সম্প্রতি এর আগেও সংসদের এক অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু বেহেস্তে আছেন ভাল আছেন!কি ভাবে এসব খবর যানেন উনি? উনি(প্রধানমন্ত্রী) কি পিরে কামেলা আওলিয়া হয়ে গেছেন? যে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মত কে বেহেস্তে যাবে আর কে জাহান্নামে যাবে তা উনি(প্রধানমন্ত্রী) ঠিক করে দিবেন।
ফেনীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে ৯ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
ফেনীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে ৯ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
সদর প্রতিনিধি :
ফেনী শহরের নাজির রোডের একটি বাসায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ৯ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে ইমরান হোসেন রিপু নামের এক ছাত্রলীগ নেতা। রিপু সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর থেকে অব্যাহত হুমকির মুখে রয়েছে নির্যাতিতার পরিবার
মামলার এজাহার ও নির্যাতিতার পরিবার সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে শহরের সুলতানপুর এলাকার মৃত জালাল উদ্দিনের মেয়ের সাথে ডোমরা এলাকায় এক প্রবাসীর বিয়ে হয়। স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাধে গত বেশ কয়েকমাস যাবত প্রতিবেশী ওই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন রিপু তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত। একপর্যায়ে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে প্রত্যাখান করে।
পরবর্তীতে ১৫ ফেব্রুয়ারি শশুর-শাশুড়ী সহ শহরে এলে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা রিপু ও তার সহযোগি একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে তারেক তাকে বড় মসজিদ সংলগ্ন স্থান থেকে সিএনজি অটোরিক্সায় তুলে জোরপূর্বক অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে শহরের নাজির রোড এলাকার ওবায়দুল হক ম্যানশনের ৫ম তলার একটি বাসায় আটকে রাখে। সেখানে ৯দিন ধরে পাশবিক নির্যাতন চালায়।
তুলে নেয়ার পরদিন ১৬ ফেব্রুয়ারি তার শশুর বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। একপর্যায়ে নির্যাতিতার মাকে কৌশলে খবর দিয়ে রিপু ও তারেক পালিয়ে যায়। ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে পরিবারের সদস্যরা নির্যাতিতাকে ওই বাসা থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার পক্ষ থেকে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহন করেনি বলে নির্যাতিতার অভিযোগ। তারা জানান, মামলাটি তুলে নিতে রিপু নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
সূত্র জানায়, গতকাল রবিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটির শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানী শেষে আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান খান আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারকে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন এডভোকেট জাহিদ হোসেন খসরু ও এডভোকেট ফজলুল হক ছোটন।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন রিপুর বক্তব্য জানতে রবিবার সন্ধ্যায় একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ হয়নি।
Amardesh247.com