রাজনৈতিক সংকটের একমাত্র সমাধান গণতন্ত্রের পূনরুদ্ধার

বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থার চারটি মূল স্তম্ভের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো গণতন্ত্র। পৃথিবীর অনেক দেশেই গণতন্ত্র পাশ্চাত্যের অনুকরণে প্রবর্তন করা হয়েছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পাশ্চাত্য থেকে ধার করা হয়নি। এখানে প্রাচীনকাল থেকে গণতান্ত্রিক ধারা প্রচলিত। বাংলাদেশ অঞ্চলের সবচেয়ে স্থিতিশীল ও বৃহৎ সাম্রাজ্য পাল সাম্রাজ্যের প্রথম নৃপতি গোপাল জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হয়েছিলেন। মানবসভ্যতার ইতিহাসে কোন রাজনৈতিক ব্যবস্থার বিলুপ্তির পর এর পুনরুত্থান নিতান্তই বিরল। কিন্তু দুটো ব্যবস্থা বা আদর্শ হারিয়ে যাওয়ার পর পুনরাগমন ঘটেছে কিংবা পুনরাগমনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। একটি হচ্ছে গণতন্ত্র অন্যটি ইসলামী আদর্শবাদী ব্যবস্থা।

আধুনিক সভ্যতায় গণতন্ত্রের যেমন বিকাশ হয়েছে তেমনি এর মূল প্রবাহ হারিয়ে কোথাও নিয়ন্ত্রিত কোথাও বা স্বৈরতন্ত্রের রুপই দৃশ্যমান। সেই গনতন্ত্র এখন প্রশ্নবিদ্ধ!। সম্প্রতি জার্মানের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘বেরটেলসম্যান স্টিফটুং’ তাদের রিপোর্টে বলেছে-”বাংলাদেশ এখন স্বৈরশাসনের অধীন এবং সেখানে এখন গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদন্ড পর্যন্ত মানা হচ্ছে না। সময়ের বিবর্তনে পৃথিবীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দর্শনের উদ্ভভ হয়েছে। মানবসভ্যতার ইতিহাসে কোন কিন্তু সব টিকে থাকতে পারেনি। কখন ও ব্যাক্তি বিশেষের খেয়াল-খুশি স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার লোভ, কবর রচনা করেছে। গণতন্ত্রের মুল কথা হল জনগণের সমর্থন। কিন্তু আওয়ামীলীগ তা বাদ দিয়ে ৫ জানুয়ারীর মত বিপরিত দিকে হাটছে। ক্ষমতা দখলের অসুস্থ ও নেতিবাচক রাজনীতি, প্রতিপক্ষকে দমন, নির্লজ্জ দলীয়করণ, ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও দলীয়স্বার্থ চরিতার্থের মানসিকতাই দেশে আইনের শাসন, উন্নতি ও অগ্রগতির পথে প্রধান অন্তরায়। সমাজে ও রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের অভাব সংকটকে আরো তীব্র করে তুলছে। অনৈতিকতা সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে প্রবেশ করেছে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস অনেক দীর্ঘ নয়। একটি স্বাধীন দেশের ৪৮ বছর সময়টিকেও নেহয়েত কম ও বলার সুযোগ নেই। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে উন্থান-পতন, বাকশাল কায়েম,সামরিক ক্যু, গণতন্ত্র হত্যা, স্বৈরশাসন, আবার গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসা সবটিই ঘটেছে এ সময়ের। তবে এসব ঘটনাপ্রবাহের সাথে বিশ্ব বা ভৌগলিক রাজনীতির সম্পৃক্ততা বিশেষ কওে ভারত-চীন গভীরভাবে জড়িত। বাংলাদেশের প্রথম রাজনৈতিক পরাজয়টি ঘটে আওয়ামীলীগ সরকারের বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ স্বৈরাচার শাসক জেনারেল এরশাদ গনতন্ত্রের গলাটিপে হত্যা করে। জনগণের সমর্থন ছাড়াই প্রতারণা করে ৯ বছর শাসন করে।

কিন্তু এই স্বৈরশাসনের পতন ঘটিয়েছিলেন শহীদ নূর হোসেনের আত্মাহুতির আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। তিনি জীবন দিয়ে গণতন্ত্রকে পূনর্রুদ্ধারে ভূমিকা রাখেন। সেই তখন থেকে বিরোধী আন্দোলনকারীদের হত্যার মিশন যোগ হয় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায়। তবে এর আগেও আওয়ামী বাকশাল সরকার প্রায় বিশ হাজার জাসদের কর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো। আওয়ামীলীগ জাসদ নেতা সিরাজ সিকদার হত্যা কওে দেশের রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রথম হত্যার রাজনীতর প্রচলন করেছিলো। আর সর্বশেষ রাজনৈতিক কারনেই জামায়াতের শীর্ষ নেতাদেও ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মুলত ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নারকীয় হত্যাকান্ডের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করে ১/১১ সৃষ্টি কওে আওয়ামী লীগই। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ অগণতান্ত্রিক সরকারের সাথে সমঝোতার এবং পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ২০০৮ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হয় । এখান থেকেই শুরু হয় বহুকাংখিত গনতন্ত্রেও কবর। বিরোধী মতাদর্শের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের হত্যার মিশন আবারো শুরু করে আওয়ামী লীগ।

একদিকে বিচারিক হত্যাকান্ড অন্যদিকে রাস্তায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে যা ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরককার কর্তৃক জাসদের ২০ হাজার নেতা-কর্মীর হত্যাকে ছাড়িয়ে যায়। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব বরেন্য মোফাস্সিওে কুরআন মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে একদিনে ১৭৫ জনকে গুলি করে হত্যা করে আওয়ামীলীগ সরকার। ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনের তফশীল ঘোষণার পর থেকে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত ৪০ দিনে ১২৩ জন রাজনৈতিক কর্মীসহ সাধারন নাগরিক আওয়ামী সরকারের হাতে নিহত হয়। যা পৃথিবীর ইতিহাসে কলন্কজন অধ্যায় রচনা করেছে। ৫ জানুয়ারী ভোটার বিহীন পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ-এরশাদ দু স্বেরাচার মিলে গণতন্ত্রের আরেকদফা বিলুপ্ত ঘটায়। আয়োজন করে গনতন্ত্রে কুলখানির। আসন ভাগাভাগির শর্তে নির্বাচনে অংশ নিয়ে এই পথে রসদ যোগায় স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদ। এভাবে আওয়ামীলীগ ১৯৮৬ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়ে এরশাদের সরকারের বৈধতার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছিলো। আর ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিয়ে জাতীয় পাটি আওয়ামী লীগের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার সুযোগ কওে দিচ্ছে।

অবস্থাদৃষ্টে দেশের রাজনৈতিক এই সংকট সমাধানের পথ অনেক দূরুহ। তবে একটি অবাধ,সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ, স্বাধীন, বিশ্বাযোগ্য সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি নির্বাচনই কেবল পারে এই সংকটের সমাধান করতে। চলমান রাজনৈতিক সংকট ও আস্থাহীনতার এবং জাতির মধ্যে যে বিভাজন তৈরি হয়েছে, এর পুরো দায় আওয়ামীলীগের। বলা হয় ”যুদ্ধ থেকে সমঝোতা কঠিন” আওয়ামী লীগচ্ছ যুদ্ধ চায় কিন্তু সমঝোতা,আলাপ-আলোচনা করতে চায়না। রাজনৈতিক সমঝোতা না হলে সেখানে আন্দোলন অনিবার্য হয়ে উঠে। বর্তমানে আওয়ামী দু:শাসনের শিকার দেশের অধিকাংশ জনগন।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একাধিক রাজনৈতিক দল থাকতে হবে। কিন্তু কোন রাজনৈতিক দলকে বিলুপ্ত বা অন্যায়ভাবে ধ্বংস করার প্রয়াস কখনই শুভ হয় না। তাছাড়া জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য জাতীয় ঐক্য একান্ত প্রয়োজন। আওয়ামীলীগ সেই জাতীয় ঐক্যের ভিতকে ধ্বংস করে স্থায়ী বিভাজন তৈরি করেছে প্রতিনিয়ত। ফরিদ জাকারিয়া উদার গণতন্ত্রের নিম্নরূপ সংজ্ঞা দিয়েছেন- A political system marked not only by free and fair elections, but also by the rule of law, a separation of power and protection of basic liberty, of speech, assembly, religion and property.

উদার গণতন্ত্রের জন্য শুধু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই যথেষ্ট নয়। এর জন্য প্রয়োজন আইনের শাসন: সংবিধানের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষমতা নির্দিষ্টকরণ। আরও প্রয়োজন বাকস্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সম্পত্তি ভোগের স্বাধীনতা। এর জন্য একদিকে যেমন আইনের শাসনের প্রয়োজন, অন্যদিকে তেমনি পরমতসহিষ্ণু সংস্কৃতির প্রয়োজন রয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত যেসব দেশে নতুনভাবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু রয়েছে, সেসব দেশে এই শর্ত প্রতিপালন করা সম্ভব হচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে যে আইনের শাসন ও কার্যকর পরমতসহিষ্ণুতার ক্রমিক অবক্ষয় ঘটছে। এর ফলে দেশে দেশে গড়ে উঠছে Illiberal democracy বা অনুদার গণতন্ত্র।

একদলীয় স্বৈরাচারের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু সব সময়ই বহুদলীয় গণতন্ত্রের পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি তাঁর অসমাপ্ত আত্নজীবনীতে তাই লিখেছেন, ‘বিরোধী দল না থাকলে গণতন্ত্র চলতে পারে না।’ তাঁর অসমাপ্ত আত্নজীবনীতে তিনি লিখেছেন, ‘কোনো নেতা যদি অন্যায় কাজ করতে বলেন, তার প্রতিবাদ করা এবং তাকে বুঝিয়ে বলার অধিকার জনগণের রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কর্তৃত্ববাদী ধারার সূচনা ঘটে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে একদলীয় রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এই কর্তৃত্ববাদী ধারা সহজেই মেনে নেয়নি। বাংলাদেশের মানুষ বারবার বৈদেশিক শাসন প্রত্যাখ্যান করেছে।আওয়ামী দু:শাসনের মোকাবেলায় জনগণের যৌক্তিক দাবিগুলোকে সামনে নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে দাবি আদায়ের আন্দোলন করা প্রয়োজন ছিল তা পারেনি। কারণ বিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা না করে গুম, খুন, হত্যা, অপহরণ,হামলা-মামলাসহ নানাবিদ অপকৌশলের পথ বেছে নেয় এ সরকার। ফলে সর্বত্র তৈরী হয় ভয়ের শাসন। তবে বিরোধীদল আওয়ামী অপশাসনের কবল থেকে সাধারন মানুষকে মুক্ত করতে বিলম্ব করলেও সাধারন জনগণের পক্ষ থেকে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। জনগণ শুধুমাত্র একটি সময়ের অপেক্ষায় রয়েছে।

ক্ষমতা দখলদারির মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক মানুষ থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরের মানুষ চরমভাবে আজ ক্ষতিগ্রস্থ। কেননা এই সরকারের মেয়াদে আর্থিক কেলেঙ্কারী, ব্যাংক লুটপাট, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারীতে দেশের সকল মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আওয়ামীলীগ পুরনো দল হিসেবে গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের লংঙ্ঘন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার যে বিলোপ সাধন করতে চলেছেন তার জবাব এদেশের জনগণ যেকোন সময় দিতে সক্ষম তা আওয়ামী লীগকে বুঝতে হবে।

বিরোধী মতকে দমিয়ে রেখে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার যে সপ্ন দেখছে তা সফল হতে দেবে এ দেশের জনগন। খালেদা জিয়াকে জেলে নিয়ে বিরোধী দলের আন্দোলনকে দমন করার পরিকল্পনা বিএনপির শান্তিপূনূ আন্দোলন ব্যার্থ কওে দেয়ায় খালেদাকে জেলে রেখ আওয়ামী লীগ অস্বস্থি ও হতাশায় নিমজ্জিত। কিছু দলীয় সিন্ডিকেট নিউজ ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা সফলতার সাথে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে।

আওয়ামী লীগ অবৈধ ক্ষমতায় টিকে আছে প্রশাসনের উপর নির্ভও করে। আওয়ামী লীগের অভ্যান্তরীন দ্বন্দ্ব এখন প্রকট। নিজেরাই দলা-দলি খুনা-খুনি করছে প্রতিনিয়ত। লুট-পাট কওে পাহাড় সম অবৈধ অর্থেও মালিক হয়ে জনগন থেকে আওয়ামী লীগ বিচ্ছিন্ন। সর্বশেষ চাঁদপুওে অনেক চেষ্ট কওে ও আওয়ামী লীগ লোক সমাগম করতে ব্যার্থ হয়েছে। প্রশাসনের সহযোগীতা ব্যাতিত অনেক নেত-কর্মী চলা-ফেরা করতে পারছেনা এখনই। এজন্য আওয়ামী লীগ যেকোন উপায়ে ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করতে চায়। এমতাবস্থায় সংকিত আওয়ামী লীগ। নিজেদেও অপরাধ বোধই তাদেও তাড়া কওে ফিরছে। সুপ্রীম কোর্ট বারের নির্বাচনে পরাজয় সে ভয় এরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও আওয়ামী লীগ ও সিইসির জন্য বড় চ্যালেন্জ। আওয়ামী লীগ যত অপকৌশলই করুকনা কেন এদেশের আরেকটি ভোটার বিহীন নির্বাচন করতে দিবেনা জনগন। বিশেষ কওে তরুন প্রজন্ম নিজের ভোটের অধিকার প্রয়োগে এবার আওয়ামী লীগ ছাড় দিবেনা। প্রশ্নপত্র ফাস অভিবাবকদেও ক্ষোভ বাড়িয়ে দিচ্ছে। নারী-শিশু নির্যাতন মহামারি আকার ধারণ করেছে। কোথাও যেন নিরাপত্তা নেই!।

বিরোধী দলকে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা, গুম, অমানবিক নির্যাতন ও দলন-পীড়নের পথে ধাবিত হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম হত্যার রাজনীতি আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন সরকারই তার সূচনা করে। সর্বত্র অধিকার বঞ্চিতদের আর্তনাদ। জুলুম-নির্যাতন ও হত্যার শিকার এদেশের ইসলামী নেতৃত্ব ও উদীয়মান দেশপ্রেমিক তরুন প্রজন্ম। তবে পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষী কোন জালিম শাসকই চিরস্থায়ী হয়নি। সময়ের প্রয়োজনে ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে কখনো আপোষ করবে না জালিমের সাথে। সবোপরি জাতীয় স্বার্থে নৈতিক জনকল্যানমূখী রাজনীতির ধারা ফিরিয়ে আনতে দেশের সর্বস্তরের শ্রেনী-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। তাই বিভক্তি বা বিভাজন নয়, বরং সকল রাজনৈতিক দল, শ্রেণি-পেশার জনগণকে নিয়ে দেশপ্রেমের চেতনায় বলীয়ান হয়ে জাতীয় ঐক্য সময়ের অনিবার্য দাবী। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বলিষ্ট ভূমিকা রাখতে হবে সবাইকে।

সক্রিয় রাজনৈতিক আন্দোলন-ই-গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অধিকার আদায়ের মাধ্যম। আন্দোলন ছাড়া গণতন্ত্রের বিকাশ সম্ভব নয়। আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলো সহযোদ্ধা হতে পারে। গণতান্ত্রিক সংগ্রাম প্রসঙ্গে অ্যান্থনি গিডেন্স যথার্থই লিখেছেন, ‘Nothing comes without struggle. But the furtherane of democracy at all levels is worth fighting for and it can be achieved. সুতরাং গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের আন্দোলনই রাজনৈতিক সংকটের একমাত্র সমাধান।

ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম

লেখক: সহকারী সম্পাদক, সাপ্তাহিক সোনার বাংলা

সোর্সঃ সাপ্তাহিক সোনার বাংলা